• ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, রবিবার ০১ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Municipal Election 2022

রাজ্য

তৃণমূলের জয়জয়কারের মধ্যেও কাটোয়ায় রবির গড়ে কুপোকাত বীরভূমের কেষ্টর অনুগত প্রার্থী

বিধানসভা ভোটের পর পুর ভোটেও রাজ্য জুড়ে দাপট অব্যাহত রাখলো ঘাসফুল শিবির। যার ব্যতিক্রম ঘটেনি পূর্ব বর্ধমানেও। এই জেলার ছয়টি পুরসভাতেও নিরঙ্কুশ জয় ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। একমাত্র কালনা পুরসভায় বামেরা অস্তিত্ব জানান দিতে পেরেছে । তবে এতকিছুর মধ্যেও রবির গড় কাটোয়া পুরসভার ভোটে নজরকাড়া পরিজয় ঘটেছে বীরভূমের কেষ্ট মণ্ডলের অনুগামী তৃণমূল প্রার্থীর।যা নিয়েই এখন সরগরম কাটোয়ার রাজনৈতিক মহল। রাজ্যের ১০৮ টি পুরসভা ভোটের ফলাফল বুধবার ঘোষনা হতেই রাজ্যজুড়ে বইতে শুরু করে সবুজ আবিরের ঝড়। হোলির আগেই এদিন সবুজ আবিরে মাখামাখি হয়ে অকাল হোলিতে মাতোয়ারা হয় বর্ধমান, কালনা, কাটোয়া,দাঁইহাট,মেমারি ও গুসকরা পৌরসভা এলকার তৃণমূল কর্মীরা। বর্ধমান পুরসভায় বিরোধীরা খাতাই খুলতে পারেনি। এমনকি ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমান পুরসভার যে যে ওয়ার্ডে বিজেপি ভাল ফল করেছিল সেই সব ওয়ার্ড সহ ৩৫ টি ওয়ার্ডেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল প্রার্থীরা।একই ভাবে গুসকরা পুরসভার ১৬ টি ওয়ার্ড ও দাঁইহাটের ১৪ টি ওয়ার্ডে একচ্ছত্র আধিপত্য লাভ করেছে তৃণমূল।এই তিন পুরসভায় বিরোধীরা খাতা খুলতে না পারলেও মেমারির ঘাসফুলের খেতে অপ্রত্যাশিত ভাবেই হাত তুলে বসেছে কংগ্রেস ।কিন্তু কোনভাবেই অস্তিত্ব জানান দিতে না পেরে বিনয় কোঙারের গড়ে হারিয়েই গেল কাস্তে হাতুড়ি তারা। মেমারি পৌরসভায় মোট ওয়ার্ড ১৬ টি।এরমধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হয়েছে ১৫ টি ওয়ার্ডে।শুধুমাত্র ৪ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী মিঠু সরকার। ভোট প্রাপ্তির হিসাব অনুয়ায়ী মেমারিতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বামেরা। কালনা পৌরসভায় ১৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৭ টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে তৃণমূল প্রার্থীরা।শুধুমাত্র কালনার ২ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএম প্রার্থী শর্মিষ্ঠা নাগ সাহা তাঁর প্রতিদ্বন্দি তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তনুশ্রী বাগকে ১৮১ ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন। ঘাসফুলের দখলে গিয়েছে কাটোয়া পুরসভা। পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টপাধ্যায় ওরফে রবি ববুর গড় হিসাবেই পরিচিত কাটোয়া। এই পুরসভার ২০ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৫ টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে তৃণমূলের প্রার্থীরা। ৪ টি ওয়ার্ডে কংগ্রেস প্রার্থী ও ১ টি ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। কাটোয়ায় পরাজিত তৃণমূল প্রার্থীদের মধ্যে যাঁকে নিয়ে সব থেকে বেশী চর্চা হচ্ছে তিনি হলেন অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়। বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও ওরফে কেষ্টর অনুগত অরিন্দম বাবু কাটোয়া পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দিতা করেন। এদিন ফল বের হতেই দেখাযায় তিনি কংগ্রেস প্রার্থী রণজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে ১১০ ভোটে পরাজিত হয়েছেন। পরাজয়ের জন্য নিজের দলের লোকজনকেই দায়ী করেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন,দলের চক্রান্তের জন্যই হেরেছি। অরিন্দমবাবু অভিযোগে বলেন,তৎকাল তৃণমূল কর্মীরা চক্রান্ত করে আমাকে হারিয়েছে। আমি সমস্ত ঘটনা রাজ্য নেতৃত্বকে জানাব। কর্মীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি নিয়ে তৃণমূলের প্রার্থীকে হারিয়ে জঘন্য রাজনীতি করেছে। কেষ্ট মণ্ডলের ঘনিষ্ট তৃণমূল নেতা অরিন্দম বন্দ্যেপাধ্যায়ের এইসব অভিযোগ নিয়ে রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি । তবে অরিন্দমের বক্তব্য নিয়ে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিতে দেরি করেননি জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী রণজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন ,যে প্রার্থী তাঁর নিজের দলের জেলা সভাপতিকে হরিদাস পাল,চোরের সর্দার বলে তাচ্ছিল করেন তাঁর এমন পরিণতি কথা আগে থেকেই ভেবে রেখে ছিলেন কটোয়াবাসী। সেই মতই কাটোয়ার মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে জিতেয়েছে।আমাকে কোন দল সাহায্য করেনি। কোটোয়া পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে হেবি ওয়েট তৃণমূল প্রার্থীর পরাজয়ের জেরে কাটোয়ার নতুন গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব মাথা চাড়া দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

মার্চ ০২, ২০২২
রাজ্য

পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও লুঠের পুরভোটের অভিযোগ তুললেন বিরোধীরা

পুর ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হবে বলে দলীয় মুখপত্রে বার্তা দিয়েছিল রাজ্যের শাসক দল। কিন্তু বাস্তবে রবিবার পূর্ব বর্ধমান সহ রাজ্যের বিভিন্ন পুর এলাকায় ঠিক তার উল্টোটাই ঘটলো। বুথ দখল, ছাপ্পা ভোট দেওয়া, বিরোধী দলের এজেন্টের উপরে হামলা সবেতেই অভিযোগের আঙুল উঠলো শাসক দলের দিকে। এমন পুর ভোট দেখে তিতি-বিরক্ত ভোটাররাও। রাজ্যের যে ১০৮ টি পুরসভার নির্বাচন এদিন ভোট হয় তার মধ্যে পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান, কালনা, কাটোয়া, দাঁইহাট, মেমারি ও গুসকরা পুরসভাও ছিল। এদিন ভোট শুরুর ঘন্টা খানেকের মধ্যেই গোলযোগ অশান্তি শুরু হয়ে যায় গুসকরা পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে। গুসকরার শান্তিপুর পূর্ব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে থাকা ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তিনটি বুধে ব্যাপক গণ্ডগোল বেঁধে যায়। বহিরাগতরা বুধে ঢুকে তৃণমূলের হয়ে ছাপ্পা দিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে স্বোচ্চার হয় সিপিএমের প্রার্থী ও এজেন্টরা। একই অভিযোগ তুলে স্বোচ্চার হন এলাকার ভোটাররাও। পুলিশের বিরুদ্ধে নিস্কৃয়তার অভিযোগ তুলে তাঁরা সবাই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। শুরু হয়ে যায় পুলিশকে লক্ষ করে ইট ছোড়া। ইটের আঘাতে চোট পান গুসকরা ফাঁড়ির আই সি অরুণ সোম সহ ৪ পুলিশ কর্মী। এর পরেই পুলিশ লাঠি চার্জ করে ও লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দেয়। এমন গোলযোগ অশান্তির জন্য প্রায় আধ ঘন্টা ভোট গ্রহন থমকে থাকে সংশ্লিষ্ট বুথে। গুসকরা পুরসভার ভোটে প্রতিদ্বন্দি সিপিএম, বিজেপি উভয় বিরোধী দলের প্রার্থী ও এজেন্ট দের অভিযোগ, বেলা বাড়তেই গুসকরা পুরসভার ১৬ টি ওয়ার্ডের সব বুথেরই দখল নিয়ে নেয় শাসক দলের বহিরাগত দুস্কৃতিরা। ওই দুস্কৃতিরা বিরোধী দলের প্রার্থী, এজেন্ট ও ভোটারদের বুথ থেকে বাইরে বের করে দিয়ে অবাধে ছাপ্পা দিয়ে গেছে। এমনই অভিযোগ এদিন করেছেন জেলা সিপিএম নেতা আলমগীর মণ্ডল ও গুসকরার বিজেপি নেতা পতিতপাবন হালদার।পৌরসভা নির্বাচনএকই ভাবে এদিন কালনা পুরসভার একাধিক ওয়ার্ডেও গোলযোগ অশান্তির ঘটনা ঘটে। কালনা পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের অম্বিকা মহিষমর্দিনী প্রাথমিক স্কুলের বুথের দরজা বন্ধ করে পুলিসের সামনেই তৃণমূলের হয়ে ছাপ্পা ভোট দেবার অভিযোগ ওঠে। সাংবাদিকদের ক্যামেরাতেও ধরা পড়ে ছাপ্পা ভোট দেবার ছবি। তা বুঝতে পেরেই মুখ ঢেকে বুথ থেকে ছুটে পালায় ওই ভুয়ো ভোটার। ছাপ্পা চলাকালীন ওই বুথে ভোট দিতে গিয়ে নিগৃহীত হয়ে এক ছাত্র বুথ চত্ত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়ে। যদিও এইসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল প্রার্থী মৌসুমী কারফা। কালনা পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী শুভদেব হাজরা অভিযোগ করেছেন, কালনার শশীবালা স্কুলের বুথ ভোট শুরুর আগেই তৃণমূল কর্মীরা মারধোর করে তাঁকে বুথ থেকে বের করে দেয় যদিও তৃণমূল প্রার্থী সুনীল চৌধুরী এই অভিযোগ সম্পুর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। কালনা পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডেও ব্যাপক অশান্তি ছড়ায়। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের একাধীক বুথে ছাপ্পা ভোট দেওয়া নিয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সিপিএম প্রার্থী পিয়ালী মুখোপাধ্যায় সহ বাম নেতা কর্মীরা। পিয়ালীদেবী বলেন, ভোটের একদিন আগেই তৃণমূলের দুস্কৃতিরা তাঁকে ব্যাপক মারধোর করে, মাথা ফাটিয়ে দেয়। আর এদিন ভোট শুরুর প্রথম থেকেই তৃণমূলের দুস্কৃতিরা বুথে বুথে ঢুকে ভোট লুঠ শুরু করে দেয়। বাইক বাহিনী হঠাৎ কালনার মহিষমর্দিনী গার্লস স্কুলের বুথে ঢুকে ইভিএম ভেঙে দেয় বলে সিপিএমের অভিযোগ। বাইক বাহিনী সিপিএম প্রার্থী ও কর্মীদের মারধোরও করেছে বলে অভিযোগ। এইসবের জন্য ওই বুথে ভোট বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছালে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। ভোট লুঠের জন্য পুলিশকে দায়ী করে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সিপিএম প্রার্থী ও কর্মীরা। তাঁরা কালনার নিভূজি মোড়ে সড়কপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করে দেয়। পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে বাম কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক বচসা ও ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। পরে পুলিশ জোর-পূর্বক অবরোধ তুলে দেয়। মেমারি পুরসভার ভোটে তেমন কোন বড়সড় গোলযোগ আশান্তির অভিযোগ বিরোধীরা তোলেন না। তবে এদিন দুপুর ৩টে নাগাদ বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটে মেমারির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সুলতানপুরের ২১০ ও ২১২ নম্বর বুথে। বহিরাগতরা বুথ জ্যাম করে ছাপ্পা ভোট দিতে গেলে বিরোধী দলের প্রার্থী, এজেন্ট ও ভোটাররা একজোট হয়ে তা রুখে দেয়। তা নিয়ে স্কুল চত্ত্বর উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পৌরসভা নির্বাচনবর্ধমান পৌরসভার ভোটেও নির্বাচনের নামে ব্যাপক ভোটলুঠ ও বুথে বহিরাগতদের দাপাদাপির অভিযোগ উঠেছে। পুর-নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ এনে বিকালে বর্ধমান সদর মহকুমাশাসকের দপ্তরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে দেন বিজেপি নেতা, কর্মী ও সমর্থকেরা। প্রার্থীরা প্লাকার্ড হাতে সেখান মাটিতে বসে পড়েন। তার আগে পুলিশের সাথেও বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বচসাও হয়। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না চলে যায় তার জন্য মহকুমা শাসকের দফতরের সামনে বিরাট পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়। একই ভাবে ভোটগ্রহণের শেষে বর্ধমানের কার্জন গেটের সামনেও উত্তেজনা ছড়ায়। এদিন সন্ধ্যায় কার্জন গেটের সামনে বিক্ষোভে সামিল হয় বাম, বাম ছাত্র-যুব ও অন্যান্য গণসংগঠনের প্রতিনিধরা। তাঁরা অভিযোগ করেন, পুরভোটে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য ভোট লুঠ করা হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে বামেরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের কুশপুতুল পোড়ায়। বিক্ষোভের শেষে দলের নেতা অমল হালদার বলেন, জেলার ৬ টি পুরসভার ভোটেই নিরব সন্ত্রাস ও ভোট লুঠ চলেছে। গোটা রাজ্যেই ভোটলুঠ হয়ে হয়েছে। মানুষকে ভোটদানে বাধা দেওয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদেই তারা পথে নেমেছেন। এই কর্মসূচি চলাকালীন কিছু উচ্ছৃঙ্খল বাম সমর্থক সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে কটু মন্তব্য করলে উত্তেজনা চরমে ওঠে। পরে অবশ্য উচ্চ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে উত্তেজনা প্রশমিত হয়। তৃণমূলের রাজ্যের মুখপত্র দেবু টুডু বলেন,যেমন সিপিএম তেমনই বিজেপি। সংগঠন নেই জনসমর্থনও নেই। শুধু অভিযোগ তুলেই বিরোধীরা পরাজয়ের গ্লানি ঢাকার কৌশল নিয়েছে।

ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২
রাজ্য

BIG BREAKING: সোমবার ১২ ঘণ্টা বাংলা বনধের ডাক বিজেপির, নির্বাচন কমিশনারকে গ্রেফতারের দাবি

আগামিকাল, সোমবার ১২ ঘন্টার বাংলা বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। পুরভোটে অশান্তি, ব্যাপক ভোট লুট-ছাপ্পার প্রতিবাদে বঙ্গ বিজেপি এই বনধের ডাক দিয়েছে। রাজ্যের এই নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ইনভেলিড বলে দাবি করেছে বিজেপি। পুরভাগুলিতে নির্বাচন না করে প্রশাসক বসানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। নির্বাচন কমিশনকে পুরভোট বাতিল করতে হবে বলে দাবি করেছে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। নতুন করে নির্বাচন করার দাবি জানিয়েছেন তিনি। এদিকে ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের দাবি, রাজ্য নির্বাচন কমিশন সৌরভ দাসকে গ্রেফতার করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের জন্যই এদিন রাজ্য রক্তপাত, অশান্তি, গন্ডগোল হয়েছে বলে বিজেপি সাংসদের দাবি।

ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২
রাজ্য

পুর ভোটের আগে হুমকির অভিযোগ নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ বিজেপি প্রার্থী ও নেতারা

রাত পোহালেই শুরু হয়ে যাবে পূর্ব বর্ধমান সহ রাজ্যের ১০৮ টি পুরসভার ভোট। তার প্রাক্কালে শনিবার থেকেই নানা অভিযোগ ঘিরে তপ্ত হয়ে উঠেছে ভোট রাজনীতির ময়দান। কোথাও বাড়ি গিয়ে বিরোধী দলের প্রার্থীকে হুমকি, আবার কোথায় ফোনে হুমকি দেবার অভিযোগ।যা নিয়ে ভোট শুরুর আগেই রাজনৈতিক উত্তাপের পারদ বুহুগুন চড়ে গিয়েছে। বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছেন, কালনা পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁদের প্রার্থী হয়েছেন মানিক দাস। ওই ওয়ার্ডের ২৩৩(ক) বুথে বিজেপি প্রার্থীর এজেন্ট মৌসুমি পালের বাড়িতে গিয়ে এদিন দুপুরে তৃণমূল প্রার্থী সন্দীপ বসু অপহরণ ও প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে বলে অভিযোগ ।ঘটনা বিষয়ে এদিনই কালনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও এই সব অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণদিত বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী ও তৃণমূল নেতৃত্ব। অন্যদিকে এদিনই দুপুরে হুমকি ফোন পেয়ে কাটোয়া থানার দ্বারস্থ হন কাটোয়া পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী প্রসেনজিৎ মোদক। পুলিশকে তিনি অভিযোগে জানিয়েছেন, এদিন সকাল ৮টা ৫৪ মিনিটের পর থেকে অপরিচিত এক ব্যক্তি তাঁকে ফোন করে গালিগালাজ করেন ও হুমকি দেন। প্রশেনজিৎ বাবু জানিয়েছেন, যে ফোন নম্বর থেকে ফোন করে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছে সেই ফেন নম্বার উল্লেখ করে তিনি কাটোয়া থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। এই বিষয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের মুখপত্র দেবু টুডু বলেন, ভোটে পরাজয় যে নিশ্চিৎ তা বুঝে গিয়ে বিজেপির নেতা, কর্মী ও প্রার্থীরা এখন নানা নাটক ফাঁদছে। নানা মিথ্য অভিযোগ করে সহানুভূতি আদায় করতে চাইছে। তবে এইসবে কিছু লাভ হবে না। বিধানসভা নির্বাচনের মতোই পুর ভোটেও বাংলার মানুষ ওদের যোগ্য জবাব দিয়ে দেবে।

ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২২
রাজ্য

নেতার পদ্ম প্রচার দেখে ভোটে সাবোটেজের আতঙ্কে ভুগছে মেমারি পুর এলাকার শাসক শিবির

ভোটটা দেবেতো পদ্ম ফুলে? ভালো করে হেসে বলো! বাড়ি বাড়ি পুর ভোটের প্রচারে বেরিয়ে ঠিক এই ভাবেই এক ভোটারের কাছে কাতর ভাবে অনুনয় বিনয় করছেন তৃণমূল নেতা। এমনটা জেনে স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও হয়তো চমকে উঠবেন। কিন্তু বাস্তবেই চমকে দেওয়ার মতনই এমন ঘটনা পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের অনেক বলিষ্ঠ নেতা নেত্রীর সামনেই ঘটেছে মেমারিতে। ভোটারকে মেমারি শহর তৃণমূলের সভাপতি স্বপন ঘোষালের পদ্মফুলে ভোট দিতে বলছেন শুনে তাঁরাই শেষে চিৎকার করে বলে ওঠেন পদ্ম নয়, জোড়া ফুল, জোড়া ফুল। এইসব দেখে মেমারি পৌরসভা ভোটের প্রাক্কালে তৃণমূলের অন্দরেই তৈরি হয়েছে সাবোটেজের আতঙ্ক।মেমারি সহ রাজ্যের ১০৮ টি পৌরসভার নির্বাচন হবে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি। ১৬ আসনের মেমারি পৌরসভা এবারও নিজেদের দখলে রাখতে মরিয়া মেমারির তৃণমূল কর্মীরা। তাই দলীয় নেতৃত্ব চুড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই মেমারি শহর জুড়ে শুরু হয়ে যায় তৃণমূলের জোরদার প্রচার। দিন দুই আগে মেমারি পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের নল পুকুরপাড় এলাকায় দলীয় প্রার্থী পদ্ম ক্ষেত্রপালের সমর্থনে প্রচারাভিযান। সেই প্রচার কর্মসূচীর অগ্রভাগে থাকেন প্রার্থী ও মেমারি শহর তৃণমূলের সভাপতি স্বপন ঘোষাল। এছাড়াও ছিলেন মেমারি পৌরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান স্বপন বিষয়ী, মেমারি ১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তথা বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য, জেলাপরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধারা ও জেলাপরিষদের কর্মাধ্যক্ষ বাগবুল ইসলাম। তাঁদের চোখের সামনেই ওই এলাকার প্রৌঢ় ভোটার ছোটন সাহানিকে শহর তৃণমূল সভাপতি স্বপন ঘোষাল বলেন ,ভোটটা দেবেতো পদ্ম ফুলে? ভালো করে হেসে বলো ! এই কথা শুনে প্রচারে বের হওয়া অন্য নেতা নেত্রীরা কার্যত চমকে ওঠেন পরে তাঁরাই চিৎকার করে বলে ওঠেন ,পদ্ম ফুলে নয় , পদ্ম ফুলে নয়। ১ নম্বরে জোড়া ফুলে ভোট দেবেন। ঘটনার পরেই ভাইরাল হয়ে গিয়ে এই ভিডিও এখন মেমারির ভোটারদের ফোনে ফোনে ঘুরছে। ভিডিওর সত্যতা জনতার কথা যচাই করেনি।এই বিষয়ে মেমারি শহর তৃণমূলের সভাপতি স্বপন ঘোষাল যদিও শুক্রবার দাবি করেন, তিনি ওই ভোটারকে পদ্মফুলে ভোট দিতে বলেননি। তিনি বলেন, আমি বলেছি দেবেন তো ভোটটা পদ্মকে ফুলে?। সেটা শুনে সবাই ভুল করে ধরে নেয় আমি পদ্ম ফুলের কথা বলেছি। তাই প্রচারে থাকা অন্যরা বলে ওঠেন পদ্মফুল নয়, জোড়া ফুল। অর্থাৎ দলের জোড়া ফুল প্রতীকের কথা স্বপনবাবু যে ভোটারের কাছে তুলে ধরেননি তা তাঁর কথাতেই স্পষ্ট হয়ে যায়। পাশাপাশি স্বপন ঘোষাল এও জানান, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির কোন প্রার্থীই নেই। কাজেই সেখানের পদ্মফুলের কোন গল্পও নেই। আর কংগ্রেসের প্রার্থী রুপা খাঁড়া এদিন থেকে তৃণমূলের হয়ে গিয়েছে বলে স্বপন ঘোষাল জানান।তবে স্বপন ঘোষাল যাই বলুন না কেন মেমারির একটা বড় অংশের তৃণমূল কর্মীরা ভোটের দোরগোড়ায় তাঁকে সন্দেহের চোখেই দেখতে শুরু করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, দলের প্রথম প্রকাশিত প্রার্থী তালিকায় প্রার্থী হিসাবে স্বপন ঘোষালের নাম ছিল। পরে দ্বিতীয় তালিকায় স্বপনবাবুর নাম বাদ যায়। কর্মীদের বক্তব্য, তা নিয়েই হয়তো ক্ষোভে স্বপন ঘোষাল পদ্মফুলে ভোট দেবার কথা বলে ফেলছেন। আর এইসব দেখে কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে ভোটের দিন সাবোটেজ হতে পারে। তাই তাঁরা ঘটনার ভিডিও রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়ে তাঁদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে রেখেছেন।মেমারি সিপিএম নেতৃত্ব অবশ্য স্বপন বাবুর কথার মধ্যে ভুল কিছু দেখছেন না। তাঁরা বলেন, কিছুদিন আগে অনুব্রত মণ্ডলকে পাশে নিয়ে মুকুল রায়-ই তে বলেছিলেন বিজেপি মানেই তো তৃণমূল। তাহলে স্বপনবাবুর আর দোষ কোথায়। তিনি তে মুকুলবাবুর সুরেই সুর মিলিয়েছেন।

ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২২
রাজ্য

ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য সরকারকেই কাঠগড়ায় তুললেন দিলীপ ঘোষ

হাওড়ার আমতায় আইএসফের ছাত্র নেতা আানিস খানের রহস্যজন মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে উত্তাল হয়ে রয়েছে রাজ্য রাজনীতি। এই অবস্থার মধ্যেই রবিবার বর্ধমানে জনসংযোগে এসে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষও আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে স্বোচ্চার হলেন। পুলিশ কর্মী সেজে বাড়িতে গিয়ে কারা আনিস খানকে খুন করলো তার তদন্ত দাবি করে দিলীপ ঘোষ বলেন,পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক খুন নতুন কিছু নয়।পশ্চিমবঙ্গে এনকাউন্টার হয় সেটা জানা নেই। তবে পশ্চিমবঙ্গে এনকাউন্টার হলে এত দুর্বৃত্ত রাস্তায় ঘুরে বেড়াতো না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশের সমস্ত সময়টা বিজেপিকে ঠেকাতেই চলে যাচ্ছে।রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কোনো নজর নেই। পুরভোট থাকায় এদিন সকালে বর্ধমানের বীরহাটা মোড় থেকে রানীগঞ্জ বাজার পর্যন্ত জনসংযোগ যাত্রা করেন দিলীপ ঘোষ। পরে তিনি রানীগঞ্জ বাজারে চা চক্রে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেখানে দিলীপ ঘোষ আরো বলেন ,প্রায় সাড়ে চার মাস ধরে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন দাবিতে ছাত্র আন্দোলন হচ্ছে। ওই আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন আনিস খান।পুলিশ কর্মী সেজে বাড়িতে গিয়ে কারা এই আনিস খানকে খুন করলো সেই প্রশ্নই এখন সারা রাজ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পাশাপাশি দিলীপ ঘোষ আরো বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে রজ্যপাল ডেকেছেন।ওনার সৌজন্য দখিয়ে যাওয়া উচিত।কারণ লক্ষ্মী ভাণ্ডার ও দিদির ভাইয়েদের পেট ভরাতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যটা দেউলিয়া হেয়ে যাচ্ছো। একই সঙ্গে দিলীপ ঘোষ ষ্পষ্ট জানিয়েদেন, দেশে বহু মানুষ সিএএ এর বিরোধিতা করছে। তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। দিনহাটার গুলি কাণ্ড প্রসঙ্গে দিলীপ বাবু বলেন, উদয়ন গুহ গুণ্ডা পুষে রাখেন।তারাই খুন করেছে কিনা তারও তদন্ত হওয়া উচিৎ।যদিও দিলীপ ঘোষের এইসব মন্তব্য নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যের মুখপত্র দেবু টুডুর সাফ জবাব, বিধানসভা ভোটে পরাজয়ের হতাশা থেকে দিলীপ ঘোষ এই সব মন্তব্য করছেন। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নয় ,বিধনসভা ভোটের পর এই রাজ্যে বিজেপি দলটাই দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে ।

ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২২
রাজনীতি

মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি চলে দাউদের টাকায় আর বাংলার ফিল্ম ইন্ড্রাস্ট্রিতে খাটে গরু ও কয়লা পাচারের টাকাঃ দিলীপ

গরু পাচার মামলায় বাংলার অভিনেতা তথা তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেবকে তলব করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেই তলব পেয়ে মঙ্গলবার কলকাতার নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজির হন দেব। সিবিআই অফিসাররা টানা পাঁচ ঘন্টা ধরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চালায়। সিবিআই দেবের বয়ানও রেকর্ড করে।আর দেবের সিবিআই এর জেরার মুখোমুখি হওয়া নিয়ে রাজ্যের বিজেপি নেতা তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ যা বললেন তা কার্যত চমকে দেওয়ার মতোই। এদিন বর্ধমানে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন,মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে লাগে দাউদ ইব্রাহিমের টাকা।কিন্তু পশ্চিম বাংলার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যে গুরু ও কয়লা পাচারের টাকা লাগে সেটাও এখন জানা যাচ্ছে।দিলীপ ঘোষের এমন মন্তব্য বাংলার চলচ্চিত্র জগৎ ও রাজনৈতিক মহলে কার্যত শোরগোল ফেলে দিয়েছে।দিলীপ ঘোষ অবশ্য এদিন নিজের মুখেই স্বীকার করে নেন, সিবিআই ডেকেছে মানেই তিনি দোষী এমনটা নয়। একই সঙ্গে দেবকে উদ্দেশ্য করে দিলীপবাবু বলেন ,সিবিআই এর জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়ে তিনি নিজেকে নির্দোষ সাব্যস্ত করবেন ।সিবিআই যে তথ্য চাইবে সেটাও দিয়ে দেওয়া উচিৎ।গুরু পাচার কাণ্ড নিয়ে সিবিআই এর তদন্তকে সমর্থন জানিয়ে দিলীপ ঘোষ এও বলেন,পশ্চিম বাংলায় বালি,কয়লা,পাথর,গরু পাচারে যে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে সেটা সবাই জানে। দোষীরা যাতে সাজা পায় তার চেষ্টা বহু বছর ধরে আমরা করছিলাম।এখন সিবিআই, ইডি সেটাই করছে ।আমরা চাই যত বড় বড় অপরাধী বাংলার রাজনীতিকে কলুষিত করেছে তারা সবাই শাস্তি পাক। এছাড়াও আমরা চাই সারা বছর এই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী সক্রীয় থেকে সমস্ত দোষীকে ধরুক। কারণ এই রাজ্যে পুলিশের উপরে কারুর ভরসা নেই ।পুলিশের সামনেই অপরাধ হয়। তা নাহলে পুলিশের সামনে গুরু, কয়লা, বালি পাচার হচ্ছে কি করে। বাংলা যাতে অপরাধ মুক্ত হয় তার জন্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দরকার। বিজেপি নেতাদের বারে বারে আদালতে দরবার করা নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন ,এই রাজ্যের সরকার,পুলিশ কেউ কোন কথা শোনে না। রাজ্য পালের কথাও শোনে না। এই পরিস্থিতিতে কোর্টই এক মাত্র রাস্তা । তাই আমরা কোর্টে যেতে বাধ্য হয়েছি। পাশাপাশি পুর ভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে দিলীপ ঘোষ শাসক দলকে এক হাত নেন।পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস দলকে ডাকাতের দল বলে অবিহিত করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ওই দলে একজন সর্দার তথা ডাকাতরাণী আছেন।বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের এই সব মন্তব্য কে পাগলের প্রলাপ বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যের মুখপত্র দেবু টুডু। একই সঙ্গে তিনি বলেন ,শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য দিলীপ ঘোষ বাংলার ভাবমূর্তি ও বাংলা চলচ্চিত্র জগৎতের সুনাম নষ্ট করতে চাইছেন। বাংলার মানুষ বিজেপিকে কোন দিনও ক্ষমা করবে না।

ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২২

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

চন্দননগরে একই পরিবারের ৩ সদস্যের রহস্যমৃত্যু, তদন্তে নেমেছে পুলিশ

চন্দননগর, ৩০ মে: হুগলির চন্দননগরে বৃহস্পতিবার সকালে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী থাকলো স্থানীয় বাসিন্দারা। একই পরিবারের তিন সদস্যের রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে ছড়িয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন পরিবারের কর্তা, তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের কিশোর পুত্র। সূত্রের খবর, এদিন সকালে চন্দননগরের শ্রীপল্লি এলাকার একটি বাড়ি থেকে তিনজনের নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, সকালবেলা দরজা না খোলায় সন্দেহ জাগে প্রতিবেশীদের। তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করে।সূত্রের খবর, বুধবার ভোর ২টার দিকে চন্দননগর থানা কোলুপুকুর গড়েরধর এলাকায় তিন পরিবারের সদস্যের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা প্রতিমা ঘোষ (৪৬) এবং তার মেয়ে পৌষালী ঘোষ (১৩) এর মৃতদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন, মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রতিমার স্বামী বাবলু ঘোষ (৬২) কে দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তদন্তের সময় পুলিশ জানতে পারে যে বাবলু একটি টিনের বাক্স তৈরির কারখানায় কাজ করত। তবে, কিছু সময়ের জন্য, সে টোটো (তিন চাকার গাড়ি) চালানো শুরু করে এবং অবশেষে তার বাড়িতেই একটি ছোট দোকান শুরু করে।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এটি হয় আত্মহত্যা, নয়তো পরিকল্পিত খুন। তবে ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। বাড়ির ভিতরে কোনোরকম লুটপাটের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীদের অনেকেই জানিয়েছেন, পরিবারটি সদ্য আর্থিক সমস্যায় পড়েছিল এবং কিছুদিন ধরে মানসিক চাপের মধ্যে ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে এবং ঘটনার ফরেনসিক তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ পরিবারের আত্মীয়-পরিজন ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।চন্দননগর কমিশনারেটের এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক জানান, আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছিআত্মহত্যা, পারিবারিক কলহ, অথবা বাইরের কোনো দুষ্কৃতীর হাত। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

আইসিকে কদর্য ভাষা অনুব্রতর, FIR, শেষমেশ ক্ষমা প্রার্থনা

তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলের একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হতেই রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় পড়ে যায়। সেই অডিওর শোনা যাচ্ছে, বীরভূম জেলা তৃণমূল কোর কমিটির অন্যতম সদস্য অনুব্রত মণ্ডল বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন। দুদিন আগে এই অডিও ক্লিপটি যে কোনও কারণেই ভাইরাল হয়ে যায়। তারপরেই জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ সিং, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার বোলপুর রানা মুখোপাধ্যায় বৈঠক ডেকে আইসি লিটন হালদারকেও ডেকে পাঠান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বোলপুর এসডিপিও রিকি আগরওয়াল সহ চার পুলিশ কর্তা। উল্লেখ্য, গতকালই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার নাগরিক কমিটির ডাকে বোলপুর থানায় এক বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীরা। অভিযোগ, আইসি লিটন হালদার বিভিন্ন জনের কাছ থেকে তোলাবাজি অর্থ দাবি করেন। অনুব্রত মণ্ডলকেও, এ ব্যাপারে সোচ্চার হতে দেখা যায়। যদিও এ ব্যাপারে পুলিশের তরফে কোন বক্তব্য জনসমক্ষে আসেনি। অনুব্রতর কদর্য বক্তব্য সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরই তীব্র নিন্দা হয় বিভিন্ন মহল থেকে। এমনকি বিজেপির রাজ্য শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব শাসকদলকে আক্রমণ করার হাতিয়ার পেয়ে যায়। একইসঙ্গে তৃণমূল দল থেকে নিজস্ব হ্যান্ডেলে অনুব্রত মণ্ডলের ঘটনার নিন্দা করা হয়। বলা হয় যে, অনুব্রত মণ্ডল একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন তার সঙ্গে আমাদের দল সম্পূর্ণ দ্বিমত প্রকাশ করছে। এবং এই মন্তব্যকে ও সমর্থন করছে না। পাশাপাশি, দল তাকে নির্দেশ দেয় যে আগামী চার ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে দল শোকজ নোটিশ জারি করবে। ইতিমধ্যে, পুলিশের তরফে একটি মুখবন্ধ খামে চিঠি এসে পৌঁছায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে। অন্যদিকে, বোলপুর থানায় বিএনএস এর ৭৫, ১৩২, ২২৪ ও ৩৫১ ধারায় অনুব্রতর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। পাশাপাশি, অডিও ক্লিপটি কিভাবে ভাইরাল হল তা নিয়ে তদন্ত করা হবে বলে জানান, বীরভূমের পুলিশ সুপার আমানদীপ সিং। অবমাননাকর মন্তব্যের তদন্ত শুক্রবার বোলপুর দলীয় কার্যালয়ে অনুব্রত মণ্ডল একটি ভিডিও বার্তায় সকলের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, যে নানুরের শিঙ্গিতে তার এক দলীয় কর্মীর পা ভেঙে গুড়ো করে দেওয়া হয় সে ব্যাপারে তিনি আইসিকে দেখার অনুরোধ করেন। অনুব্রত বলেন, যে নুরুল নামে সেই দলীয় কর্মী গুরুতর অবস্থায় আহত হন। তারপর সেখান থেকে তাকে ফোন করা হয়। রাত্রি দশটায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। ফোনে ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর, তিনি আইসিকে বলেন যে, ওই আহত ব্যক্তিকে বাঁচানোর জন্য আপাতত হাসপাতালে ভর্তি করুন। একইভাবে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ ও আইসিকে অনুরোধ করেন। কিন্তু আইসি তাকে একটি খারাপ কথা বলেন। যেটা তিনি আর বলতে চাইছেন না। তার পক্ষে (অনুব্রতর) এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করা উচিত হয়নি। তিনি ক্ষমা চাইছেন।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

বিধানসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন মোদী, শিক্ষা থেকে হিংসা উঠে এল ভাষণে

২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আলিপুরদুয়ারের জনসভায় কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। এই সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়েছেন মোদী। পাশাপাশি তাঁর ভাষণে উঠে এসেছে মুর্শিদাবাদ, মালদার হিংসার কথা, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা বরবাদ বলেও উল্লেখ করেছেন মোদী।বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদী বলেন, মুর্শিদাবাদ, মালদায় যা হল তা এখানকার সরকারের নির্মমতা। দাঙ্গায় গরিব মা-বোনেদের জীবনভরের পুঁজি লুঠ হয়ে গেল। তুষ্টিকরণের রাজনীতি চলছে, গুন্ডাদের খোলামেলা ছুট দিয়ে রেখেছে সরকার। সরকারে থাকা লোকজন, পার্টির লোকজন মানুষের ঘর চিহ্নিত করে জ্বালাচ্ছে, পুলিশ দাঁড়িয়ে তামাশা দেখছে। এখানে কী পরিস্থিতি চলছে সেটা কল্পনাও করতে পারছি না। সরকার এভাবে চালাতে হয়? গরিব মানুষের উপর অত্যাচার হলেও সরকারের ভ্রুক্ষেপ নেই। সব কিছুতেই এখানে আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। বাংলার মানুষেরও আর তৃণমূলের সরকারের উপর ভরসা নেই। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ একাধিক সংকটে জেরবার বলেও দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। একের পর এক ইস্যু তুলে ধরতে থাকেন নরেন্দ্র মোদী। এই ইস্যুতেও তৃণমূল পরিচালিত সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন মোদী। তাঁর কথায়, সংকটে জেরবার বাংলা। প্রথম সংকট, একদিকে হিংসা-অরাজকতা চলছে। দ্বিতীয়, মা-বোনেদের ওপর অত্যাচার চলছে। তৃতীয়ত, যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোরতর নিরাশা তৈরি হয়েছে, কর্মহীনতার যন্ত্রণায় ভুগছে যুবরা। চতুর্থত, বেপরোয়া দুর্নীতি চলছে। পঞ্চম সংকট হল, এই রাজ্যের গরিবের অধিকার ছিনিয়ে নিচ্ছে শাসকদলের রাজনীতি।এরই পাশাপাশি অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা যা করেছে, সারা ভারতের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের লোকেদেরও তুমুল আক্রোশ ছিল। আপনাদের সেই আক্রোশ আমি ভালোই বুঝেছি। জঙ্গিরা আমাদের মা-বোনেদের সিঁদুর মোছানোর দুঃসাহস দেখিয়েছিল। আমাদের বীর সেনারা ওদের সিঁদুরের শক্তি কী সেটা বুঝিয়ে দিয়েছে। আমরা জঙ্গি ঘাটি ধ্বংস করেছি। পাকিস্তান এটা কল্পনাও করতে পারিনি। জঙ্গিদের ঠিকানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন শিক্ষা পাবে পাকিস্তান কল্পনাও করেনি। সন্ত্রাসের লালন পালন করে পাকিস্তান। ১৯৪৭-এর পর থেকেই ভারতে সন্ত্রাস পাকিস্তানের। বাংলাদেশে পাকিস্তানের অত্যাচার ভোলবার নয়। তিনবার পাকিস্তানকে ঘরে ঢুকে মেরেছে ভারত।SSC-এর নিয়োগ দুর্নীতির জেরে এই রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। শাসকদল তৃণমূলের তাবড় নেতা-মন্ত্রী পাহাড়-প্রমাণ এই দুর্নীতিতে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের সভামঞ্চ থেকে রাজ্যের এই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শিক্ষাক্ষেত্রে এমন দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে বেনজির নিশানা করেছেন নমো।প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেছেন, তৃণমূলের নেতারা এত বড় পাপ করেও নিজেদের ভুল মানতে নারাজ। হাজার-হাজার পরিবারকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলা হয়েছে। গরিব পরিবারের ছেলে-মেয়েদের অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা বরবাদ। শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেও তৃণমূলের নেতারা মানতে নারাজ। বাংলায় হাজার-হাজার শিক্ষকের কেরিয়ার বরবাদ। এখানকার যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোরতর নিরাশা তৈরি হয়েছে। কর্মহীনতার যন্ত্রণায় ভুগছে যুবরা। বেপরোয়া দুর্নীতি নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে লাগাতার মানুষের বিশ্বাস কমছে।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

মেয়ের প্রথম জন্মদিনে রক্তদান শিবির! সাধুবাদ মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের

মেয়ের প্রথম বছরের জন্মদিনের মাধ্যমে মালদা মেডিকেল কলেজের ব্লাড ব্যাংকের রক্ত সংকট মেটানোর বার্তা নিয়ে এগিয়ে এলেন দাস পরিবার। বুধবার সকাল থেকেই বাড়ির একমাত্র মেয়ের প্রথম বছরের এই জন্মদিনকে ঘিরেই ধুমধাম ভাবে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাটুলি এলাকার দাস পরিবার। বাড়ির সামনেই জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের ভ্রাম্যমান রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় দাস পরিবারের পক্ষ থেকে। আর এই রক্তদান শিবিরের প্রথম রক্তদাতা হিসাবে ছোট্ট এক বছরের আদিক্সা দাসের বাবা দেবাশীষ দাস স্বেচ্ছায় রক্তদান দিয়ে কর্মসূচি সূচনা করেন। এদিন এই জন্মদিন উপলক্ষে বিকেল পর্যন্ত দেবাশীষবাবুর আত্মীয় পরিজন, বন্ধু বান্ধব মিলিয়ে প্রায় ৫০ জন স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। দেবাশীষবাবুর এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ , স্বাস্থ্য দপ্তর এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।মালদা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ পার্থপতিম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এটি খুব ভালো উদ্যোগ। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন , নানান রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলি মাঝে মধ্যেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করছেন। এদিন ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাটুলি এলাকায় এক বছরের ছোট্ট আদিক্সা দাসের জন্মদিন উপলক্ষেই এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিলেন তাঁর বাবা দেবাশীষ দাস। সঙ্গ দিয়েছিলেন দেবাশিষবাবুর স্ত্রী কোয়েল সাহা দাস। এদিন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এবং মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা নিয়ে ভ্রাম্যমান ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্পের একটি বড় গাড়ি ছোট্ট মেয়ে আদিক্সা দাসের বাড়ির সামনে গিয়ে হাজির হয়। সেই ভ্রাম্যমান গাড়িতেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় ব্যবসায়ী দেবাশিষবাবুর পুরাটুলি এলাকায় নিজস্ব বাড়ি রয়েছে। পরিবারের একমাত্র মেয়ে আদিক্সার জন্মদিনে এমন পরিকল্পনা অনেক আগে থেকে নিয়েছিলেন দেবাশিষবাবু এবং তার স্ত্রী কোয়েল সাহা দাস । আর সেটা কার্যত বাস্তবে করে দেখালেন। ব্যবসায়ী দেবাশিষ দাস বলেন, মেডিকেল কলেজে চিকিৎসারত রোগীর আত্মীয়েরা এক ইউনিট রক্তের জন্য কিভাবে ব্লাড ব্যাংকে ছোটাছুটি করছে। মাঝেমধ্যেই দেখি মেডিকেল কলেজের রক্তের সংকট রোগীদের হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে। আমিও একসময় হয়রানির শিকার হয়েছিলাম। তাই এদিন মেয়ের জন্মদিনে এমন ভাবেই স্বেচ্ছায় রক্তদানের শিবির করেছি। আমার আত্মীয় পরিজন বন্ধু-বান্ধবরা অনেকেই এগিয়ে এসে স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছবি দাস জানিয়েছেন, এটা খুব ভালো উদ্যোগ । আমার এলাকার দাস পরিবার তাদের বাড়ির একমাত্র মেয়ের প্রথম জন্মদিনে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছেন । তাদের এই কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। এভাবেই সকলকে এগিয়ে আসা উচিত।

মে ২৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বিশ্বের তারকা ফুটবলার ইয়ামালকে মনে আছে? বিশ্বের অন্যতম বড় ক্লাবে ১০ নম্বর জার্সির মালিক ১৭ বছরেই

মনে আছে লামিল ইয়ামালের কথা? গত বিশ্বকাপ ফুটবলে স্পেনের নাবালক তারকা ফুটবলার। জার্মানীর মাঠ কাঁপিয়ে দিয়েছিল এই ইয়ামাল। আগামী ২০৩১ পর্যন্ত ইয়ামাল লা লিগাতে বার্সেলোনার হয়েই খেলবেন। এই বয়সে মাল্টি মিলিয়নের চুক্তি হয়েছে বার্সেলোনার সঙ্গে ইমামালের। লা লিগাতে এই মরসুমে নিজে শুধু ১৮টি গোল করেননি, গোল করতে সহায়তা করেছেন আরও ১৩টি ক্ষেত্রে। বিপক্ষের ডিফেন্সে রীতিমতো ত্রাস সৃষ্টি করেন এই স্পেনের এই ফুটবলার। খ্যাতি পয়েছেন গত জার্মানী বিশ্বকাপে। স্পেনের দলে প্রয়োজনীয় ফুটবলার ছিলেন তিনি। জার্মানী শ্রম আইন অনুযায়ী ফাইন দিয়েও তাকে দলে রেখেছিল স্পেন। তার ফায়দাও পেয়েছিল তারা। এবার বার্সেলোনার সঙ্গে তার চুক্তি হয়েছে প্রতি মরসুমে তিনি পাবেন বেসিক হিসাবে ১৫ মিলিয়ন ইউরো, যা বোনাস নিয়ে ২০ মিলিয়নে দাঁড়াতে পারে। বার্সেলোনার হয়ে তিনি ইতিমধ্যে মোট ১০৬টি গোল করেছেন। মাত্র ১৭ বছরবয়েস ইয়ামাল যে অর্থ পাচ্ছেন তা যে কারও কাছে বড় স্বপ্ন। তা আগে কেউ পায়নি। তাছাড়া এই মরসুমে ইয়ামাল দলের ১০ নম্বর জার্সি পরবেন।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় গিয়ে তান্ডব, গ্রেফতার গুণধর ছেলে, ধুন্ধুমার কাণ্ড

শুরু মেমারিতে, যার শেষ হল বনগাঁতে। গুনধর ইঞ্জিনিয়ার ছেলে বাবা-মাকে নৃশংস ভাবে খুন করে পালিয়েছিল বনগাঁয়। সেখানে গিয়ে এলোপাথারি ছুরি চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে জখম করেছে। তাকে জোর করে বের করার জন্য থানা আক্রমণ করেছে স্থানীয় ক্ষুব্ধ জনতা। পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। ধুন্ধুমার কাণ্ড। বুধবার সকালে গলার নলি কাটা অবস্থায় বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে উদ্ধার হয় বৃদ্ধ মা ও বাবার রক্তাত মৃতদেহ। মোস্তাফিজুর রহমান (৬৫) ও মমতাজ পারভীন (৫৫)। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিয়ারা মুক্তারবাগান এলাকায়। জোড়া খুনের খবর পেয়ে জেলার পুলিশ সুপার সায়ক দাস দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তবে মৃত দম্পতির ছেলে বাড়িতে না থাকায় পুলিশের সন্দেহ বাড়তে থাকে। তবে এটা যে খুনের ঘটনা তা নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত ছিল পুলিশ। খুনের পর বৃদ্ধ দম্পতিকে ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করে আনা হয়েছিল। সেই কারণে গোটা নানা জায়গায় রক্তের দাগ দেখা গিয়েছে। রাতে দিকে এই ঘটনার আঁচ গিয়ে পড়ে সীমান্ত এলাকায় উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়। জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির ছেলে হুমায়ূন কবির বাইরে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতো। হুমায়ুনের মানসিক সমস্যা আছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। তাছাড়া বাড়ির সিসিটিভির হার্ড ডিস্ক উধাও বলে জানা গিয়েছে। বৃদ্ধ দম্পতির দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বনগাঁ খান শরীফে ঢুকে বেশ কয়েকজনের ওপরে ছুরি নিয়ে আক্রমণ করে। এই ঘটনায় কয়েকজন আহত অবস্থায় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। বনগাঁ খান শরীফের সামনে কিছুক্ষণ অবস্থান করে সংখ্যালঘুরা। জানা গিয়েছে, একদল বনগাঁ থানায় এসে আসামিকে ছাড়ানোর জন্য চেষ্টা করে এবং বনগাঁ থানায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং কয়েকজনকে আটক করেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান বনগাঁর এসপি দীনেশ কুমার। পরে পুলিশ জানতে পারে ওই যুবক মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় এসে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।বনগাঁ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার সাংবাদিকদের জানান, আক্রমণকারী যুবকের নাম হুমায়ন কবির। বয়স ৩৫ বছর, বাড়ি বর্ধমানের মেমারি। আজ সকালে এই ব্যক্তি তার বাবা-মাকে খুন করে এখানে এসেছে। তারা ছুরির আঘাতে চার জন আহত হয়েছে। এদিকে থানা ভাঙচুরের ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আঘাত পেয়েছেন একজন কনস্টেবল ও একজন এএসআই। এদিকে রাতেই মেমারি থানার পুলিশ পৌঁছে গিয়েছে বনগাঁ থানায়।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের, যুবকের মাথা ফাটিয়ে, হাত কেটে দিল গৃহবধূ

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় যুবকের উপরে আক্রমণ ও তার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ প্রতিবেশী গৃহবধূর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বনগাঁয়। প্রতিবেশী গৃহবধূর সঙ্গে যুবকের চার বছরের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় যুবকের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া, ব্লেড দিয়ে হাত কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। শুধু যুবকের উপর হামলা করেই থামেনি প্রতিবেশী ওই গৃহবধূ। যুবকের পরিবারের অভিযোগ, ওই গৃহবধূ তাদের বাড়ির খাবারে বিষ মিশিয়ে দিয়েছে এবং বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁ থানার সভাইপুর এলাকায়। সোমবার বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করে যুবক। যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত গৃহবধূকে গ্রেফতার করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ। অভিযুক্ত গৃহবধূকে মঙ্গলবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ।

মে ২৮, ২০২৫
রাজ্য

গভীর রাতে বোমাবাজি ও গুলি হরিহরপাড়ায়, জখম এক, গ্রেফতার ৪

সোমবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার অন্তর্গত নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অভিযোগ, ওই রাতে একদল দুষ্কৃতী এলাকায় বোমাবাজি চালানোর পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দা নাজিমউদ্দিন শেখ ওরফে কালুকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।গুলিতে তাঁর পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও পরে কলকাতার একটি হাসপাতালে রেফার করা হয়।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জমি দখলকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। সেই বিবাদের জেরেই এই হামলা বলে প্রাথমিক অনুমান। উল্লেখযোগ্য যে, দুই পক্ষই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত বলে এলাকাবাসীর দাবি।এই ঘটনায় হরিহরপাড়া থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকলেও বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্ত চলছে।হরিহরপাড়া থানার নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় বোমাবাজি ও গুলি চালানোর ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্র গুলি উদ্ধারসহ চার জনকে গ্রেফতার করে বহরমপুর জেলা জজ আদালতে পাঠানো হলো। ধৃতদের তিনজনের বাড়ি নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় একজনের বাড়ি চোয়া এলাকায়

মে ২৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal